ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া সুন্দরবন চিংড়ীজোনের ডাকাত সর্দার রাইফেল পটু অস্ত্রসহ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া সুন্দরবনের দূর্ধর্ষ জলদস্যু ও চিংড়িজোন এলাকার ত্রাস মো. করিম ওরফে রাইফেল পটুকে (৪১) অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

চকরিয়ায় র‌্যাবের একটি টিম ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ৮টি মামলার আসামী পটুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি ওয়ান শ্যুটারগান (এলজি), একটি রামদা ও ১৪ রাউন্ড গুলি। আজ ১৮ডিসেম্বর সোমবার ভোররাত সাড়ে তিনটায় উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এর মধ্যম বুড়িপুকুর এলাকার তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে গ্রেফতার ও তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়। গ্রেফতার হওয়া মো. করিম ওরফে রাইফেল পটু চিরিঙ্গার মধ্যম বুড়িপুকুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, পটু চিংড়িজোন এলাকার ত্রাস ও একটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান। ধৃত পটু কাউকে তোয়াক্কা করতো না। দিনরাত অস্ত্র সাথে নিয়ে বাহিনীসহ অপকর্ম করে বেড়াতো। তার নেতৃত্বে থাকা এ ডাকাত দলে প্রায় অর্ধশতাধির সদস্যরা প্রতিনিয়ত চিংড়িঘেরসহ আশপাশে ছিনতাই ডাকাতি সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত ছিল গত এক যুগ ধরে। তাদের  বিরুদ্ধে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পেতনা জীবন খোয়ানোর ভয়ে। তাকে গ্রেপ্তার করায় এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে।

কয়েকজন মৎস্যচাষি জানান, জিয়াবুল বাহিনীর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করিম দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া চিংড়ি জোনে চাঁদাবাজি করত। প্রত্যেক চিংড়িঘের থেকে প্রতি জোতে চাঁদা দিতে হয় তাকে। চাঁদা না দিলে কোনো চাষি মৎস্য চাষ করতে পারতেন না। তাদের নানাভাবে হয়রানি করত রাইফেল পটু।

র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবের একটি টিম গোপনসুত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় গত ভোররাত  আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। সন্ত্রাসী বাহিনীর দলনেতা পটুর বসতঘর ঘেরাও করে তাকে গ্রেফতার ও অস্ত্রসহ গুলি উদ্ধার হয়। আটক করিম ওরফে পটুর বিরুদ্ধে থানায় ৮টি মামলা রয়েছে।

পাঠকের মতামত: